গাইবান্ধা সদর উপজেলার ইউপি গিদারীর বাগুড়িয়া গ্রামে এক সঙ্গে জন্ম নিলো তিন সন্তান

- আপডেট সময় : ০৫:৩৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
- / ৬৮৯ বার পড়া হয়েছে
মো: সাব্বির হোসেন রনিঃ গাইবান্ধা জেলা নিজস্ব প্রতিবেদন
– ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় মা-বাবা!
এক সঙ্গে তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়ে বিপাকে রয়েছে দিন এনে দিন খাওয়া একটি পরিবার। সকলের সহযোগিতা চান অসহায় ঐ পরিবারটি।
সরেজমিনে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১১ নং গিদারী ইউনিয়নের বাগুড়িয়া গ্রামে গিয়ে দেখা মেলে ঐ গ্রামের মুন্না মিয়া ও সুমী আক্তারের ঘরে জন্ম নেয়া তিন কন্যা সন্তানের। তারা সকলে সুস্থ আছে। তবে দিন এনে দিন খাওয়া ঐ পরিবারটি এই তিন সন্তানকে নিয়ে রয়েছে মহা বিপাকে।
সহায় সম্বলহিন শিশুটির পিতা মুন্না মিয়া এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি একদিন কাজে না গেলে আমার পরিবারের সদস্যকে না খেয়ে থাকতে হয়। তবু আল্লাহ পাক গত প্রায় দুই মাস পূর্বে আমার স্ত্রীর কোল জুড়ে তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এতে আমি ও আমার পরিবার মহা খুশি। তবে ভূমিষ্ট তিন কন্যা শিশুর খাবারের চাহিদা মেটাতে গিয়ে আমাকে মহা বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বর্তমানে আমি কি করবো তা নিয়ে চিন্তায় আছি। সকলের সহযোগিতা পেলে আমার সন্তান গুলোর ভবিষ্যত ভাল হত।
শিশুটির জন্ম দেওয়া মা সুমি বেগম বলেন, আমি যখন জানতে পারি আমার গর্ভে তিন সন্তান রয়েছে। তখন একটু দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম। তারপরে সন্তান জন্ম দেয়ার পূর্বে আমি ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হলে সেখানে নরমালে আমার তিন সন্তানের জন্ম হয়। আমিও আমার স্বামীরমত মহাখুশি একসঙ্গে তিন কন্যা শিশুকে পেয়ে।
এব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মতিয়ার রহমান বলেন, এই পরিবারটির জায়গা জমি না থাকায় বর্তমানে সরকারী বাঁধের সাথে একটি ঘর তুলে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। এদের পরিবারে তিন সন্তান একসঙ্গে জন্ম নেওয়ায় ঐ পরিবারটির পাশাপাশি আমরাও দুচিন্তায় আছি। কি ভাবে লালন পালন হবে এই বাচ্চা গুলো। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি, এদের সহযোগিতায় এলাকাসহ দেশের বিত্তবান মানুষের এগিয়ে আশা উচিৎ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রমজান আলী বলেন, আমি প্রতিনিয়ত এই পরিবারটির খোজ খবর রাখছি। আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব এই পরিবারে একসঙ্গে তিন সন্তান জন্ম নেয়ার বিষয়টি অবগত আছেন। আগামীতে সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা আসলে এই পরিবারটিকে দেয়া হবে।
একসঙ্গে একই পরিবারে তিন সন্তান জন্ম নিয়েছে বিষয়টি নিয়ে টেলিফোনে কথা হলে ১১ নং গিদারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদু মিয়া বলেন, আমি বিষয়টি অবগত আছি ও ইউপি সদস্যকে সার্বক্ষণিক ঐ পরিবারটির খোজ খবর রাখতে বলেছি। সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা পাওয়া গেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঐ পরিবারটিকে দেয়া হবে।