ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
Logo ঝিনাইগাতীতে বন্য হাতির আক্রমনে কৃষক আহত Logo ”স্মৃতিতে রবে চিরদিন ” (সালমান শাবনূর অমর জুটি) Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কৃষি ঋণ মেলা অনুষ্ঠিত Logo ডোমারে রুপসা ট্রেনের সাথে মিতালী ইঞ্জিনের মুখোমুখি সংর্ঘষ Logo আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে বই বিতরন অনুষ্ঠিত হয় Logo দিনাজপুরে সড়কে প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর Logo টাঙ্গাইলের বাসাইলে ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তি মেলা অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা পদক পেলেন মোজাম্মেল হোসেন বাবু Logo কালিহাতিতে অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করছে হামিদপুরের ব্যাটারী বাবলু সাহা Logo দিনাজপুরের বিরলে পূর্ণ ভবা নদীর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার চার দিন পর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ
বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম...সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে

চিরিরবন্দরে ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা দেখতে উপচেপড়া ভিড়

রুবেলঃ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:১২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৩৯১ বার পড়া হয়েছে

রুবেলঃ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি

দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার ৩নং ফতেজংপুর ইউপির বড় হাশিমপুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় যুবকদের আয়োজনে এই খেলা দেখতে ভিড় করেন নারী-পুরুষরা।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর)বড় হাশিমপুর দপ্তরী পাড়া গ্রামের স্থানীয় যুবকরা ফাঁকা খেতের মাঠে পাতা খেলা’র আয়োজন করেন। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই খেলা চলে। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচটি তান্ত্রিক দল আসে। নিজ নিজ মন্ত্র দিয়ে পাতারূপী মানুষকে মাঠের মাঝখান থেকে নিজের দিকে টানার প্রতিযোগিতা করেন তারা।
যে দল তাদের মন্ত্রের মাধ্যমে মানুষ নামের পাতাকে নিজের দিকে টানতে পারবে, সেই দলই পয়েন্ট পাবে। পরে পয়েন্ট হিসাব করে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
খেলার সময় মাঠজুড়ে নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরের উপচে পড়া ভিড় ছিল। খেলাকে ঘিরে পুরো বড় হাশিমপুরে দপ্তরী পাড়া গ্রামের ছিল উৎসবের আমেজ।
খেলা দেখতে আসা সাজ্জাদ হোসেন হিমু বলেন, পাতা খেলা নামে যে কোনও খেলা ছিল তা জানা ছিল না। অনেক নাম শুনেছি এই খেলা আগে কখনও দেখিনি কিন্তু আজ দেখলাম খেলাটি অনেক মজার।
এনামুল নাঈম সুমন বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম তখনকার ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় ছিল পাতা খেলা। আগে এই খেলা বিভিন্ন গ্রামে নিয়মিত হতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ কোথাও দেখা যায় না। তাই অনেক দিন পর এমন খেলার কথা শুনে আর লোভ সামলাতে পারিনি। খেলাটি উপভোগ করলাম। খুব ভালো লাগলো।
খেলার আয়োজক কমিটির সদস্যরা বলেন, আমরা চেষ্টা করি এই খেলাটি মানুষের সামনে তুলে ধরতে। কালের বিবর্তনে ঐতিহ্যবাহী এই খেলাটি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই খেলাটি ধরে রাখতে ও পুনরুদ্ধারে এই আয়োজন। স্থানীয়ভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে মানুষকে আনন্দ দিতে প্রতিবছর এমন আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চিরিরবন্দরে ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা দেখতে উপচেপড়া ভিড়

আপডেট সময় : ১১:১২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

রুবেলঃ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি

দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার ৩নং ফতেজংপুর ইউপির বড় হাশিমপুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় যুবকদের আয়োজনে এই খেলা দেখতে ভিড় করেন নারী-পুরুষরা।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর)বড় হাশিমপুর দপ্তরী পাড়া গ্রামের স্থানীয় যুবকরা ফাঁকা খেতের মাঠে পাতা খেলা’র আয়োজন করেন। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই খেলা চলে। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচটি তান্ত্রিক দল আসে। নিজ নিজ মন্ত্র দিয়ে পাতারূপী মানুষকে মাঠের মাঝখান থেকে নিজের দিকে টানার প্রতিযোগিতা করেন তারা।
যে দল তাদের মন্ত্রের মাধ্যমে মানুষ নামের পাতাকে নিজের দিকে টানতে পারবে, সেই দলই পয়েন্ট পাবে। পরে পয়েন্ট হিসাব করে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
খেলার সময় মাঠজুড়ে নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরের উপচে পড়া ভিড় ছিল। খেলাকে ঘিরে পুরো বড় হাশিমপুরে দপ্তরী পাড়া গ্রামের ছিল উৎসবের আমেজ।
খেলা দেখতে আসা সাজ্জাদ হোসেন হিমু বলেন, পাতা খেলা নামে যে কোনও খেলা ছিল তা জানা ছিল না। অনেক নাম শুনেছি এই খেলা আগে কখনও দেখিনি কিন্তু আজ দেখলাম খেলাটি অনেক মজার।
এনামুল নাঈম সুমন বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম তখনকার ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় ছিল পাতা খেলা। আগে এই খেলা বিভিন্ন গ্রামে নিয়মিত হতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ কোথাও দেখা যায় না। তাই অনেক দিন পর এমন খেলার কথা শুনে আর লোভ সামলাতে পারিনি। খেলাটি উপভোগ করলাম। খুব ভালো লাগলো।
খেলার আয়োজক কমিটির সদস্যরা বলেন, আমরা চেষ্টা করি এই খেলাটি মানুষের সামনে তুলে ধরতে। কালের বিবর্তনে ঐতিহ্যবাহী এই খেলাটি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই খেলাটি ধরে রাখতে ও পুনরুদ্ধারে এই আয়োজন। স্থানীয়ভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে মানুষকে আনন্দ দিতে প্রতিবছর এমন আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন