ঢাকা ১১:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
Logo ঝিনাইগাতীতে বন্য হাতির আক্রমনে কৃষক আহত Logo ”স্মৃতিতে রবে চিরদিন ” (সালমান শাবনূর অমর জুটি) Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কৃষি ঋণ মেলা অনুষ্ঠিত Logo ডোমারে রুপসা ট্রেনের সাথে মিতালী ইঞ্জিনের মুখোমুখি সংর্ঘষ Logo আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে বই বিতরন অনুষ্ঠিত হয় Logo দিনাজপুরে সড়কে প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর Logo টাঙ্গাইলের বাসাইলে ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তি মেলা অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা পদক পেলেন মোজাম্মেল হোসেন বাবু Logo কালিহাতিতে অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করছে হামিদপুরের ব্যাটারী বাবলু সাহা Logo দিনাজপুরের বিরলে পূর্ণ ভবা নদীর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার চার দিন পর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ
বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম...সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে

ঝিনাইগাতীতে রঙিন ফুলকপি চাষ করে শফিকুলের বাম্পার ফলন

মোঃ বিল্লাল হোসেনঃ শেরপুর জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:৫১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৩৯৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ বিল্লাল হোসেনঃ শেরপুর জেলা প্রতিনিধি

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম। তিনি সারাবছরই তার জমিতে নানান প্রজাতের সবজি চাষাবাদ করে থাকেন। তবে এবার তিনি স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে রঙিন ফুলকপি চাষ করে বাম্পার ফলন ফলিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন। শফিকুল তার অল্প জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার প্রয়োগ করে চার রঙের ফুলকপি চাষ করে দ্বিগুণ লাভবান হয়েছেন। তার এমন সফলতা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরাও।

আর রঙিন ফুলকপির সৌন্দর্য দেখতে শফিকুলের ক্ষেতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন স্থানীয় কৃষকসহ উৎসুক জনতা। কেউ নিচ্ছেন পরামর্শ আবার কেউ তুলছেন ছবি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষক শফিকুল কৃষি অফিসের পরামর্শে তার নিজস্ব ১৫ শতক জমিতে চার রঙের ফুলকপির বীজ বপন করেন। এতে তিনি কোন প্রকার রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈবসার ব্যবহার করছেন। এতে চারাসহ সব মিলে তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। চারা রোপনের ৭০ থেকে ৭৫ দিন পর ক্ষেতে আসে রঙ্গিন ফুলকপি।

শফিকুল জানান, বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। তিনি আশা করছেন, পুষ্টিগুণে ভরপর এই রঙ্গিন ফুলকপিগুলো ১লাখ ৩০হাজার টাকার মতো বিক্রি করতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, মজার ব্যাপার হলো রঙিন এসব ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ আমার জমিতে ভীড় করছেন। কেউ নিচ্ছেন চাষের পরামর্শ আবার কেউ কেউ তুলছেন ছবি। তাছাড়া বাজারে নেওয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যায় এসব রঙিন কপি।

একই গ্রামের কৃষক জামিল, ছাত্তার, করিম জানান, আমাদের এলাকায় শফিকুলের আগে অন্য কেহ রঙিন ফুলকপির চাষ করে নাই। আমিও ফুলকপিগুলো এর আগে দেখেছি। তবে এখানে খুব ভালো ফলন হয়েছে। এসব কপি আবাদে খরচ কম এবং বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি। আগামীতে আমরাও আমাদের জমিতে রঙিন ফুলকপির চাষ করবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, কৃষক শফিকুল ইসলাম শাকসবজি চাষে খুবই আগ্রহী। তিনি প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ফুলকপি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি। বিশেষ করে ফুলকপিতে ভিটামিন সি, ই, কে, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধেও কাজ করে।

জেলা কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক কর্মকর্তা সুলতান আহম্মেদ বলেন, সাধারণ কপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির চাহিদা বাজারে বেশি। উৎপাদন খরচও তুলনামূলক খুব একটা বেশি না। কৃষকদের সকল পরামর্শ দিতে জেলা কৃষি বিভাগ সব সময় পাশে আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঝিনাইগাতীতে রঙিন ফুলকপি চাষ করে শফিকুলের বাম্পার ফলন

আপডেট সময় : ০২:৫১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

মোঃ বিল্লাল হোসেনঃ শেরপুর জেলা প্রতিনিধি

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম। তিনি সারাবছরই তার জমিতে নানান প্রজাতের সবজি চাষাবাদ করে থাকেন। তবে এবার তিনি স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে রঙিন ফুলকপি চাষ করে বাম্পার ফলন ফলিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন। শফিকুল তার অল্প জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার প্রয়োগ করে চার রঙের ফুলকপি চাষ করে দ্বিগুণ লাভবান হয়েছেন। তার এমন সফলতা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরাও।

আর রঙিন ফুলকপির সৌন্দর্য দেখতে শফিকুলের ক্ষেতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন স্থানীয় কৃষকসহ উৎসুক জনতা। কেউ নিচ্ছেন পরামর্শ আবার কেউ তুলছেন ছবি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষক শফিকুল কৃষি অফিসের পরামর্শে তার নিজস্ব ১৫ শতক জমিতে চার রঙের ফুলকপির বীজ বপন করেন। এতে তিনি কোন প্রকার রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈবসার ব্যবহার করছেন। এতে চারাসহ সব মিলে তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। চারা রোপনের ৭০ থেকে ৭৫ দিন পর ক্ষেতে আসে রঙ্গিন ফুলকপি।

শফিকুল জানান, বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। তিনি আশা করছেন, পুষ্টিগুণে ভরপর এই রঙ্গিন ফুলকপিগুলো ১লাখ ৩০হাজার টাকার মতো বিক্রি করতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, মজার ব্যাপার হলো রঙিন এসব ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ আমার জমিতে ভীড় করছেন। কেউ নিচ্ছেন চাষের পরামর্শ আবার কেউ কেউ তুলছেন ছবি। তাছাড়া বাজারে নেওয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যায় এসব রঙিন কপি।

একই গ্রামের কৃষক জামিল, ছাত্তার, করিম জানান, আমাদের এলাকায় শফিকুলের আগে অন্য কেহ রঙিন ফুলকপির চাষ করে নাই। আমিও ফুলকপিগুলো এর আগে দেখেছি। তবে এখানে খুব ভালো ফলন হয়েছে। এসব কপি আবাদে খরচ কম এবং বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি। আগামীতে আমরাও আমাদের জমিতে রঙিন ফুলকপির চাষ করবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, কৃষক শফিকুল ইসলাম শাকসবজি চাষে খুবই আগ্রহী। তিনি প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ফুলকপি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি। বিশেষ করে ফুলকপিতে ভিটামিন সি, ই, কে, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধেও কাজ করে।

জেলা কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক কর্মকর্তা সুলতান আহম্মেদ বলেন, সাধারণ কপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির চাহিদা বাজারে বেশি। উৎপাদন খরচও তুলনামূলক খুব একটা বেশি না। কৃষকদের সকল পরামর্শ দিতে জেলা কৃষি বিভাগ সব সময় পাশে আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন