দিনাজপুরে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা ফেসবুক লাইভ করা ব্যক্তিসহ গ্রেপ্তার ৫

- আপডেট সময় : ০৫:৫২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৩৭৮ বার পড়া হয়েছে
রুবেলঃ চিরিরবন্দর উপজেলা প্রতিনিধি (দিনাজপুর)
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ২ নম্বর সাতনালা ইউনিয়নের রাণীপুর গ্রামের একটি পানা পুকুর থেকে হাছানুর রহমান নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলায় ৪ জনসহ মরদেহ উদ্ধারের সময় ফেসবুকে লাইভ করা এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৩)। আজ শনিবার চিরিরন্দর থানায় আসামিদের সোপর্দ করেছে র্যাব।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মামলার প্রধান আসামি উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের দগরবাড়ির মোতালেব হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (২৮) এবং নশরতপুর বালাপাড়া গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে সবুজ হোসেন (২৭), মাইজার রহমানের ছেলে জাকির হোসেন (২৭), আব্দুর রহমানের ছেলে আকরাম হোসেন (৩০) ও হাবিবুর রহমানে ছেলে মশিউর রহমান লাল (২৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের মধ্যে আকরাম হোসেন তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি ‘আবার কথা হবে’ থেকে ঘটনার দিন মরদেহ উদ্ধারের লাইভ দিচ্ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হাছানুর রহমান রানীপুর ভগুপাড়ার মৃত এজাদ্দীনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন হরেক মাল বিক্রেতা। গত ২৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় জরুরি কাজের কথা বলে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। পরে তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। পরদিন স্থানীয় একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে। একই দিনে নিহতের মা হাছিনা বানু বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে চিরিরবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন সামিউল ইসলাম।
এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সামিউলের ভাই ওবাইদুল (৩৫), ভগুপাড়ার রুস্তম আলীর ছেলে শাফিয়ার রহমান (২৫) ও বালাপাড়া গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে রুবেল (২৭)।
নিহতের পরিবারের দাবি, আসামিরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
চিরিরবন্দর থানার ওসি বজলুর রশিদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের র্যাব থানায় সোপর্দ করেছে। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
ওসি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধারের সময় একজন ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্যই তিনি এসব করছিলেন। তাকে পুলিশ হেফাজতে রেখে তাদের ৭ দিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত বিষয় জানা যাবে।