শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলায় ময়নাতদন্তরে জন্য গৃহবধূর লাশ উত্তলন ।

- আপডেট সময় : ০৪:০০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২
- / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে
শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ আবু আলম:
শরীয়তপুর জেলা গোসাইরহাট উপজেলায়
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে গোসাইরহাট ইউনিয়ন কাশিখন্ড একই গ্রামে শাহাদাৎ হোসেন রাজিবের সাথে কাঞ্চন গাইয়েন এর মেয়ে
সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে বিয়ে হয় । বিয়ের পর থেকে প্রায় সাবিনা ইয়াসমির উপর যৌতুকের জন্য শারীরিক ভাবে অত্যার্চার
করতো রাজিবএবং রাজিবের পরিবার ।
গত ২৬শে আগষ্ট মাসে বিকেল বেলায় রাজিব ,তার মা রোকেয়া বেগম বোন কাকলী বেগম ভাই নাজমুল হোসেন রাড়ী সহ প্রতিবেশী পান্টু আকন কে নিয়ে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন কে মারধর করেন
শরীলের বিভিন্ন স্থানে রড দিয়ে মেরে ক্ষত বিক্ষত করে ,এলো পাতলী কিল ঘুষি মারেন
পরে উরনা দিয়ে গলা পেচিয়ে স্বাস বন্ধ করে সাবিনা কে হত্যা করে খাটের উপরে শোয়ারে রাখেন রাজিব সহ তার পরিবার ,এবং পরে হত্যা করীর পরিবার সাবিনা ইয়াসমিন আত্মহত্যা করেছে বলে মিথ্যা কথা বলে ধামাচাপা দেয়া হয়েছিলো। নিহত সাবিনা ইয়াসমিন ৩ মাসের অন্তঃস্বত্তা ছিলেন । নিহত সাবিনা ইয়াসমিনের আব্বা কাঞ্চন বাদী হয়ে ৫জনের নামে মামলা করেন প্রথমে মামালা হয় ময়নাতদন্ত হয় কিন্তু সঠিক বিচার তিনি পান নাই ,সঠিক বিচার না পাওয়ার কারনে পূর্নরায় আবার মামলা করেন । কোর্টের আদেশ নিয়ে গোসাইর হাট পুলিশ কর্মকর্তা সহ গোসাইর হাট পুলিশ টিম,গোসাইর হাট উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন দাশ গুপ্ত এবং বাদী সহ এলাকাবাসি উপস্থিত হয়ে কাশিঁ খন্ড পারিবারিক কবর স্থান থেকে
আজ ১৪ই নভেম্বর সোমবার দুপুরে সাবিনা ইয়াসমিনের লাশ উত্তলন করেন পরে ময়নাতদন্তরে জন্য পেরন করেন ।
গোসাইরহাট ভারপ্রাপ্ত ওসি আসলাম সিকদার বলেন :বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে আমারা লাশ উত্তলন করছি আগের ময়নাতদন্তে বাদী সন্তুষ্ট না হওয়ার কারনে
আবার ময়নাতদন্তরে জন্য পেরন করা হবে শরীয়তপুর ।
নিহত সাবিনা ইয়াসমিনের বাবা কাঞ্চন গাইন বলেন : আমার মেয়ে কে হত্যা করে আমাকে খবর দেন আমি সহ আমার স্ত্রী গিয়ে দেখি আমার মেয়ে কে মেরে খাটে রাখেন আমি তারে হাসপাতালে নিয়ে যাই
ডাক্তার মেয়ে কে দেখে বলেন সে অনেক আগেই মারা গেছেন আমার মেয়ে তিন মাসের অন্তঃসত্বা ছিলো তারে নির্মম ভাবে যৌতুকের জন্য হত্যা জামাই রাজিব তার মা তার ভাই তার বোন আমি ন্যায় বিচার চাই হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই ।