শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে সাজসজ্জা হয় সরকারী কনডম দিয়ে, ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘটন

- আপডেট সময় : ১০:৫৯:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
- / ৪৩৩ বার পড়া হয়েছে
আবুআলমঃ শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে গত ১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে হাসপাতাল কক্ষ সহ প্রাধান ফটক সুন্দর্য্য বৃদ্ধি সাজসজ্জার জন্য হাসপাতাল তত্ত্বাবদায়ক গত ১৫ই ডিসেম্বর বরাদ্দ দেন ,
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কক্ষসহ গেইট সাজসজ্জা হয়
সেখানে কয়েটি রঙ্গীন বেলুন দিয়ে বাকি সব সরকারী কনডম
দিয়ে হাসপাতালে সাজসজ্জা করা হয় ,সাজসজ্জার বেলুন না দিয়ে কনডম দিয়ে সাজানো হয় হাসপাতালটি তা দেখে সাধারন জনগন তা ছবি ও ভিডিও তুলে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয় এই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ভাবে সমালোচিত হয় ।
এ ঘটনায় জড়িত প্রতিষ্ঠানের জরুরী বিভাগের ব্রাদার ইনচার্জ রেজাউলকে দায়িত্ব থেকে ইতিমধ্যে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ।সাধারন মানুষের ধিক্কার ,নিন্দা,ক্ষোভ আর অভিযোগের ভিত্তিতে গর্হিত এ কাণ্ডে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এমন কান্ড দেখে সাধারণ মানুষ, ছাত্রসমাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাদের সন্তানসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উর্তীজিত। এ ঘটনায় জড়িত সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, যে বিজয় অর্জনের জন্য দেশের ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন; মা-বোনেরা নিজেদের সম্ভ্রম ইজ্জত হারিয়েছেন নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন বহু বীর মুক্তিযোদ্ধা- তাদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানাতে করা আয়োজনে কনডমের ব্যবহার গর্হিত কাজ,এটা মহান বিজয় দিবস কে অপমান ও কলঙ্কিত করা হয়েছে ।
শরীয়তপুর ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সাইফ রুদাদ বিষয়টি নিয়ে বলেন, যারা মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব অস্বীকার করে ,তারাই মহান বিজয় দিবসকে অসম্মানিত করতে এ অপকর্ম ঘটিয়েছে। অবিলম্বে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও ব্রাদার রেজাউলকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি তাদের রাজনৈতিক দর্শন জানতে রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাদের কাছে আহ্বান জানাই।
শরীয়তপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সহ-সভাপতি সাংবাদিক শহিদুজ্জামান খান বলেন, মহান বিজয় দিবসে এমন সাজসজ্জায় এক ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছে।
এদের বিচারের আওতায় আনা উচিৎ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি ।
এ ঘটনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও অভিযোগের মধ্যে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ব্রাদার ইনচার্জ রেজাউলকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এমন গর্হিত কাজে অভিযুক্ত (নার্স) ব্রাদার ইনচার্জ রেজাউলের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, কোনো কর্তাব্যক্তি বা বাইরের কেউ জড়িত কিনা তা জানার জন্য ফোন করা হয় কিন্তু রেজাউলের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
হাসপাতালে তাকে খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। তাকে চেনে এমন কেউ তার ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, ঘটনাটি আমি জানার পরপরই সাজসজ্জা ছিঁড়ে ফেলার নির্দেশ দিই । বিষয়টি দুঃখজনক, রেজাউলের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। কোন রাজনীতিক দল এই কাজের জন্য উৎসাহ দিছে কিনা সেটিও তদন্ত করা হবে ।