শীতের ভিতরে ঢাকা রুটের লঞ্চের ছাদে লাশ সহ লাশের পরিজন সোশ্যালমিডিয়া তোলপাড়

- আপডেট সময় : ০২:০২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
- / ৪০১ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধিঃ আবুআলম
ঢাকা থেকে দক্ষিন অঞ্চল রুটের লঞ্চ তাসরিফ-১ ছাদের উপরে কনকনে শীতে একটি লাশ শুয়ে আছে। অসহায় ক’জন নিকটাত্নীয় পাশে বসে আছে । ঢাকা থেকে মনপুরা, হাতিয়া রুটে কয়েকটি লঞ্চ চলাচল করেন কিন্তু কোন লঞ্চ লাশ তুলতে রাজি হয় নাই সকল প্রকার অনুরোধ করেও । এই লাশ পরিবারের সময় স্বল্পতা আর আর্থিক সংকটে কফিন বক্সের ব্যবস্থা করতে পারে নাই এবং আর্থিক সংকটে কথা বলার পরেও দ্বীপ এলাকা হাতিয়া অভিমুখী কোন লঞ্চ জায়গা দেয়নি এবং কোন সহযোগীতা পায় নাই । অথচ বি,আই,ডব্লিও,টি,এ বলা আছে লঞ্চে লাশ বহনের বাধ্যবাধকতা রয়েছ সকল ধর্মের লাশ বহন করিতে পারবে। অনেক অনুরোধ বিনয় করার পর
শেষ পর্যন্ত তাশরিফ -১ লঞ্চে জায়গা দিয়েছে। লাশ এবং সঙ্গে থাকা স্বজনদের ভাড়াও ফ্রি করে দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসায় ভাসতেছেন তাসরিফ-১ পরিবহন কতৃপক্ষ কেউ কেউ বলছেন এতো বড় লঞ্চ নিচে কোন এক কোনের ভিতরে কি যায়গা হয় নাই প্রচন্ড কন কনে শীতে লঞ্চের ছাদের উপর থাকা কি করে সম্ভব ।
স্বজনের লাশ শেষমেশ ঠাই পেলো তাসরিফ- ১ লঞ্চে, মৃত দেহ নিয়ে লঞ্চের ছাদে পরিবার বর্গ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগে ভাসছে।
জানা যায় গতকাল বিকালে ঢাকার কোন প্রাইভেট এক হাসপাতালে মারা যায় ক্যান্সার আক্রান্ত এ ব্যাক্তি।
স্বজনরা দ্রুত সদরঘাট নিয়ে আসেন
কফিন ছাড়াই তারাহুরো করে লঞ্চে উঠতে চেয়েছিল সময় সল্পতার কারনে । কিন্তু কোনো লঞ্চ তাদেরকে উঠায়নি বা কোন প্রকার সাহয্য সহযোগীতা করে নাই !
তাশরীফ -১ লঞ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে অনেক অনুনয় বিনয় করার পর জায়গা মিলে, তাও ছাদে মেশিনের ধুওয়া বাহির হওয়ার মোটা পাইবের পাশে যেখানে বিকট শব্দ হয় ।
কতটা অমানবিক বিষয় চিন্তা করা যায় , এই কনকনে শীতের মাঝে লঞ্চের ছাদে করে হাতিয়া যাওয়া ঢাকা থেকে প্রায় ২০০কিঃমিঃ এর বেশি দূরত্ব। যে জায়গাটাতে প্রচণ্ড বাতাস থাকে, আবার নদীর বাতাস। স্বজনরা যে জায়গাটাতে বসা। এটা হচ্ছে ইঞ্জিনের হাওয়া বের হওয়ার একটা জায়গা। এখানে প্রচুর পরিমাণ শব্দ হয়ে থাকে সহ্য করা যায় না। আর এই লোকগুলোকে এখানেই বসানো হয়। তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় শীত নিবারণের পোষাকও নেই, অতচ ঠাণ্ডায় বসে আছে কিছুই করার নাই লাশ নিয়ে ফিরতে হবে বাড়ি । বি আই ডব্লিও টি এ পরিবনের যেসব লঞ্চ লাশ বহন করতে চায় না, সে সব লঞ্চকে উচিৎ যাত্রীদের বয়কট করা। কারন তাদের কাছে মানুষ জীবিত অবস্থা ব্যবসায়ী পণ্য আয়ের উৎস যাত্রী আর মানুষ মরে গেলে লাশ হইলে মূল্যহীন দেশের অধিকাংশ মানুষের দাবী লঞ্চের ভিতরে লাশ এর জন্য আলাদা কেবিন এর ব্যবস্থা করা উচিৎ। সে যেই ধর্ম, বর্ণ, গোত্র বা সে যে কোন শ্রেনীর লোক হোক না কেন ।মানুষ ভুলে যায় যে আমি একদিন মরে লাশ হবো আমার বাসস্থান হবে জঙ্গলের কোন এক কোনে ,পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ লাশ হয় কোন না কোন ভাবেই কখনও হাসপাতালে ,নিজ গৃহে নয়তো সড়ক দূর্ঘটনায় নয়তো জলে ডুবে তাই বি,আই,ডব্লি, টি এর কাছে জোর দাবী মৃত লাশের জন্য একটা কেবিনের সু- ব্যবস্থা করা, দেশের সকল মানুষের এম্বুলেন্সে লাশ বহন করার অর্থিক ক্ষমতা সবার থাকে না