শেরপুরের নালিতাবাড়িতে ভিজিডি কর্মসূচীর ১৮৭ কার্ডধারীর সঞ্চয়ের ২ লাখ টাকার হদিস নেই

- আপডেট সময় : ০৫:২৪:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
- / ৩৯৬ বার পড়া হয়েছে
মোঃ বিল্লাল হোসেনঃ শেরপুর জেলা প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে,সরকারের দুস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভার্নারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট-ভিজিডি) কর্মসূচীর আওতায় থাকা ১৮৭ জন কার্ডধারীর (উপকারভোগীর) সঞ্চয়ের প্রায় দুই লাখ টাকার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। নিয়মানুযায়ী ব্যাংক এশিয়ার স্থানীয় শাখায় উপকারভোগীদের নিজ নামে একাউন্ট খোলে সঞ্চয় করার কথা থাকলেও তৎকালীন চেয়ারম্যান এ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রূপনারায়নকুড়া ইউনিয়নে।
এদিকে গত ২১ ডিসেম্বর বুধবার ২০২১-২২ অর্থ বছরের ভিজিডি কর্মসূচির কার্যক্রম শেষ হয়। বৃহস্পতিবার কার্ডধারীরা তাদের সঞ্চয়ের টাকা নিতে ইউনিয়ন পরিষদে যান। এসময় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল-আল-মামুন সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করতে কার্ডধারীদের ব্যাংক এশিয়ায় খোঁজ নিতে বলেন। চেয়ারম্যানের পরামর্শ অনুযায়ী ভুক্তভোগীরা ব্যাংক এশিয়ায় গেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা কার্ডধারীদের অর্থ জমা দেওয়া হয়নি বলে জানান। পরে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি বিষয়টি খোঁজ নিতে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে পাঠান। কিন্তু মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়েও এর কোন সুরাহা তারা না পেয়ে প্রেসক্লাবে এসে অভিযোগ করেন।
বাগিচাপুর গ্রামের ভিজিডি কার্ডধারী মনোয়ারা খাতুন অভিযোগ করেন, সঞ্চয় হিসেবে তৎকালীন চেয়ারম্যান মিজানের কাছে এক হাজার টাকা জমা দেন তিনি। কিন্তু এখন ওই টাকা কোথাও জমা করা হয়নি বলে তিনি জানতে পারেন।
গাছগড়া গ্রামের কার্ডধারী মর্জিনার স্বামী জিয়ারুল অভিযোগ করেন, ২০২১ সালে ভিজিডি কার্ড করে চেয়ারম্যানের কাছে বিভিন্ন সময় সঞ্চয় হিসেবে ১২শ টাকা জমা দিয়েছি। ওই টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান টাকা জমা দেননি। ফলে এখন আমরা টাকা ফেরত পাচ্ছি না।
কাউয়াকুড়ি গ্রামের জুলেখা জানান, তিনিও সঞ্চয় হিসেবে এক হাজার টাকা মিজান চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছেন। কিন্তু এখন এক টাকাও তার একাউন্টে নেই।
এ ব্যাপারে তৎকালীন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, টাকা উত্তোলন করে ব্যাংকে জমা দিতে সচিবের কাছে দেওয়া হয়েছে। তবে তার কাছে কয়েকজনের সঞ্চয়ের টাকা রয়েছে। সেই টাকা তিনি দ্রুত দিয়ে দিবেন।
এ ব্যাপারে তৎকালীন দায়িত্বে থাকা ইউপি সচিব শফিকুল ইসলাম বলেন, ভিজিডি কার্ডধারীদের সঞ্চয়ের টাকা চেয়ারম্যান নিজে উত্তোলন করেছেন। কার্ডের পেছনে চেয়ারম্যনের স্বাক্ষর রয়েছে। আমাকে কোন টাকা চেয়ারম্যান দেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল জানান, বিষয়টি জেনেছি। ভিজিডি কার্ডধারী ভুক্তভোগীরা যদি লিখিত অভিযোগ দেন তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।