শেরপুরে বিধবাপল্পীর বীরকন্যা ও শহিদজায়ারা পেলেন উপজেলা প্রশাসনের দেয়া খাদ্যসামগ্রী ও শীতবস্ত্র

- আপডেট সময় : ০৩:৩২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২
- / ৪০১ বার পড়া হয়েছে
মোঃ বিল্লাল হোসেনঃ শেরপুর প্রতিনিধি
মহান বিজয় দিবসে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় গণহত্যার শিকার সোহাগপুর বিধবাপল্লীর বেঁচে থাকা বীরকণ্যা ও শহীদজায়াদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ,খাদ্যসামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে।
১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে বিধবাপল্লীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল এই উপহার সামগ্রী তোলে দেন। এই সময় বীরকন্যা ও শহীদজায়াদের হাতে ফুল দিয়ে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানানো হয়।
উপজেলা প্রশাসন ও বিধবাপল্লি সূত্রে জানা গেছে,১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধের সময় ২৫ জুলাই পাকহানাদার ও দেশি রাজাকারের সহযোগিতায় সোহাগপুর গ্রামে অর্তকিত ভাবে আক্রমণ করে গণহত্যা চালান। এই সময় ওই গ্রামের ১৮৭ জন গ্রামবাসীকে নির্বিচারী হত্যা করা হয়। অনেক গৃহবধূ নির্যাতনের শিকার হন। সেসময় সোহাগপুরের বেনুপাড়ার সমস্ত পুরুষ মানুষকে হত্যা করায় স্বাধিনতার পর পাড়াটির নাম বদলে বিধবাপল্লি হিসেবে পরিচিতি পায়।
বর্তমানে বেঁচে আছেন ২২জন নারী। এদের মধ্যে নির্যাতনের শিকার ১৪জন নারীকে সরকার নারী মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে। এই নারী ও তাঁদের স্বজনদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল,ডাল,তেল চিনি,সাবানসহ ২৬ জনকে খাদ্যসামগ্রী , শীতবস্ত্র ও নগদ এক হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বিধবাপল্লিতে ইউএনও খৃষ্টফার হিমেল রিছিলের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.মোকছেদুর রহমান।বিশেষ অতিথি হিসেবে পৌরসভার মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো.আমিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.ওয়াছ কুরুনী,নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল মান্নান ও কাকরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিয়ামুল কাওসার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।